হেমন্তহিন্দোল
ভুলিনি হেমন্তের সেই নিরালা
মোলাকাত ৷
আমি জলধোঁয়ায় এঁকেছিলাম দিব্য
অনুরাগ ৷
কাঁপা কাঁপা চোখে সেই প্রথমবার
দেখেছিলাম
ঈশ্বরের অনুপম আবাহন ৷
নীরবতা থেকে লাফ দিয়ে উঠে এসেছিল
চাঁদ –
আমি গোটা সন্ধ্যা জোছনায় ভিজে ভিজে
গলে গেছি চুপচাপ ৷
উড়ন্ত স্বর্গ
ঘুম আসার আগে যেসব আলো জমে ঘরে
তাদের মাঝেই স্বর্গ দেখতে পাই
সাময়িক ৷
আদিম কফিন থেকে আমার পাললিক আত্মা
বাঁশি বাজায় রোমান্টিক সুরে ৷
বেডশিটে রাতুল বেদনা মুড়ে সমুদ্র
আঁকি
চারদেয়ালে... ফ্যানের ঘূর্ণিতে
ঝুলিয়ে দিই রং বেরঙের আঁচল ও ওড়না
৷
সারাদিনের আয়নাখেলার পর
প্রতিরাতে ঘুম আসার আগে
এক অলৌকিক মুগ্ধতায় আমি স্বর্গে
প্রবেশ করি
আর আমার কামরাঙা পিপাসা শুষে নেয়
নীরবে
এক দিব্য পাহাড়ি অর্কিড ৷
রাতের বিছানায়
আর কিছু নয় , শুধু কাগজের ওপর
কলমের শব্দ ৷
দু-একটা স্বপ্ন শ্মশান টপকে এনেছে
ঘুম
অথচ ঘুমোতে আমার ভয় করে ভীষণ –
ঘুমের ভেতর তোমাকে হারিয়ে ফেলি
বারবার ৷
তাই তো নির্ঘুম বড় বেশি প্রিয় আমার
আর নির্ঘুমেই প্রেম ও পীড়া জড়াজড়ি
করে শুয়ে থাকে ৷
প্রেমিক
কালো সিঁড়ি নেমে গেছে বুকের ভেতর
তাতে সফেদ আতুর পদছাপ ৷
যে তোমাকে ছুঁয়েছিল বৃষ্টির
মাঝখানে
তার তনমনে আজ এক ঈশ্বরীয় পাপ ৷
সৌম্যাবেশ
কীভাবে অসন্ধিত করি বলো
চুম্বক ও চুম্বন – মাথাভর্তি
চন্দ্রদাগ আর বৃষ্টিবীণা ৷
মনে হয় তোমার সাথে আজও
হেঁটে চলেছি রোহিনীর নিরালা পাহাড়ে
;
ক্লান্তি এলে বসে পড়ছি ইউ-টার্নের
ওই কাঠের বেঞ্চে ৷
আমার সময় ও সফরে ২৪ X ৭ জড়িয়ে আছো
স্বর্ণলতার মতো ; উর্বর ভৈরবী
তুমি...
ঘুম থেকে নির্ঘুমে ঢেলে দিচ্ছো
মনোলোভা মণিমঞ্জুষা ৷
কীভাবে ভেঙে দেবো সমুদ্রসাঁকো –
দৌড়ে চলেছি প্রতিদিন তোমার দিকেই ৷
No comments:
Post a Comment