স্বাধীনতাহীনতায় কে
বাঁচিতে চায় রে...বাবা তাঁর গলায় বেসুর তুলে আবৃত্তি করতেন এটা।হক ছিল তাঁর
শুনিয়ে -শুনিয়ে আমাদের কান ঝালাপালা করে দেবার।স্বাধীনতাসংগ্রামী,দেশ স্বাধীন হবে,সেজন্য জান -প্রাণ লড়িয়ে দিয়েছিলেন
তিনি।তো,এই স্বাধীনতা শব্দটা আকাশ থেকে খসে-পড়া তারার মতো
আমার মাথাতেও এঁটে বসে গেছিল কবে থেকে কে জানে!বাবা,মার কাছে,
এই পরিবারের মুখের দিকে না তাকিয়ে পরিপূর্ণ স্বাধীনভাবে
স্বাধীনতাসংগ্রামে নামার কারণে আমৃত্যু গন্জনা পেয়ে গেছেন।আর,আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে চরিতার্থ করতে চেয়ে আমি নালিশ শুনেছি আমারই
আবহ থেকে।
তবে,আজ বুঝি,স্বাধীনতা এক অলীক শব্দ মাত্র।হ্যাঁ,নেশার বস্তুও বটে!কিংবা,পচা ডোবায় জ্বলে-ওঠা নীল
আলো।পরিপূর্ণ স্বাধীনতা কেউ পায় না।কেননা,পাওয়া সম্ভব নয়
যে!আমরা যতই অস্বীকার করি না কেন,কাঁধ ঝাঁকিয়ে নিজেকে রুটলেস
ভাবি না কেন,বিশ্বপ্রকৃতিতে সবকিছুই একে অন্যের সঙ্গে কোনও
না কোনওভাবে সম্বন্ধযুক্ত।একজন স্বাধীনতা চাইতে গেলেই অন্য কোথাও ঠিক টান লাগে,ব্যথা জাগে,বাধা পড়ে যায়,স্বাধীনতায়।
আমি শুধু ছুটে যাই
ওই যা খুশি তাই করতে পারি-র দিকে আর পায়ে বেড়ি পরানো কেউ সেই ছুটে যাওয়াটুকুতে
সাধ-না-মেটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে,ঈশ!ও
কত স্বাধীন!এই,এইটুকুই আমার স্বাধীনতার আস্বাদন।
No comments:
Post a Comment