খননকার্য
টেবিলল্যাম্পের সামনে বসে আছে মনখারাপ,
চেয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে অনেক খনন মুহূর্ত
মাথার ভিতর লুকিয়ে ছিল হয়ত কোন বাদামের
বন
কিছু বলার ছিলনা আমার,কিন্তু কাঠবেড়ালির দল ছিল,
খুব অন্যমনস্ক লাগছে এবারের এই
ব্যথা,এসবের মাঝে
এলোমেলো বাতাস,প্রতিটি ঘাসের চিহ্ন ধরে তার যাওয়া
টের পাচ্ছি,নিরাপদ ফিরে আসা বলে আসলে কিছু নেই।
অজানা
অজানা মেঘের নীচে
আনকোরা নদীটির
জল খেতে আসে মাঝরাত্তিরের বাঘ,
জল-কাদা মাখে।
তখন প্রকাণ্ড চাঁদ,মানসিক গোরস্থান ও
ভস্মাধার।
তারপর ভোরের ট্রেন মফস্বল ছাড়িয়ে চলে
গেছে।
ভাবছেন কি-'ঈশ্বর কোথায় থাকেন!'
বাসনা
অসীম দূরত্বে যদি থাকে বর্ম,
শিরস্ত্রাণ এবং শানিত শস্ত্রপরম্পরা
অসীমের আরো দূরে যদি নিবিড় ক্রন্দন...
আমি তবে রবিবার
দুপুর বেলায়,মাংস-ভাত খাই।
রূপকথা
রাত্রি নামছে,আলাপচারিতা শেষ।
আঙারে হাঁটছে পাড়া আর প্রতিবেশ।
মনের ভিতরে কলোনি এবং রাত
আঁধারে নেমেছে হাতছাড়া দুটি হাত।
ওই পথে আছে শবেদের ফিসফাস
ধ্বনি-প্রতিধ্বনি লবনে রাঙানো শ্বাস।
শবেদের বুকে আলো জ্বেলে দেয়
একটা বুড়োটে তারা
প্রিয় সন্তান ওই আলো ছুঁয়ে
বাতাসের হাতনাড়া।
সহন
কামড়াবে?-অনায়াসে কামড়াও।
যে ক্ষত সে সুন্দর,জাননা কি তাও!
যে রুধির,যে গড়ানো লালিমা
অতিক্রম করে যায় বন্ধুতার সীমা
তারই ফাঁকে কখন যে হয়েছো নিকট,
সহ্য করি,সহ্য করো হে অমিয় বট।
তরবারি ও
আমি
তরবারির নিকটে গিয়ে দেখি,
তার ক্ষতটা আমার চেয়ে বেশি।
দাঁড়িয়ে ছিল শুকনো গাছের তলে।
বলল আমায়--'আপনি কোন দলে?'
'দলের নইকো--ইচ্ছে আমার নতুন ধানের শিষ,
জং ধরিয়ে তুমিও খসাও তোমার প্রাচীন
বিষ।'
No comments:
Post a Comment