ভিজে
যাওয়া ভালো
মেদুর বর্ষার এই জলের
স্বভাবটান থেকে
আটকে রেখেছে আগুন আমাকে
গেলাস ধরিয়ে দিচ্ছে আর
ইনডিকেট করছে অ্যাকুয়া ফিল্টার
জল খাচ্ছি, কুলকুচো করছি, চোখে মুখে ঘাড়ে দিচ্ছি
কিন্তু পোষাচ্ছে না
বাইরে বৃষ্টিরা চিৎকার করে ডাকছে
'যাই'... বলে দেখি, দরজার মুখেই সেই আগুন দাঁড়িয়ে
আগুন আমার বুকে এসে লাগে
কষ্ট হয়, একা বসে থাকি
চোখ চলে যায়, ভিজে আসে
আমি আটকে থেকে যাই ছাঁকনির মধ্যেই
পবিত্রতার জন্যও তো স্নানের প্রয়োজন
আগুন দরজায় ঝড় তুলে দেয়
তাও গুটি গুটি পায়ে
পুড়তে পুড়তে আমি ভিজতে যাই
ভিজে যাওয়া ভালো, ভেসেই যাওয়ার থেকে।
আটকে রেখেছে আগুন আমাকে
গেলাস ধরিয়ে দিচ্ছে আর
ইনডিকেট করছে অ্যাকুয়া ফিল্টার
জল খাচ্ছি, কুলকুচো করছি, চোখে মুখে ঘাড়ে দিচ্ছি
কিন্তু পোষাচ্ছে না
বাইরে বৃষ্টিরা চিৎকার করে ডাকছে
'যাই'... বলে দেখি, দরজার মুখেই সেই আগুন দাঁড়িয়ে
আগুন আমার বুকে এসে লাগে
কষ্ট হয়, একা বসে থাকি
চোখ চলে যায়, ভিজে আসে
আমি আটকে থেকে যাই ছাঁকনির মধ্যেই
পবিত্রতার জন্যও তো স্নানের প্রয়োজন
আগুন দরজায় ঝড় তুলে দেয়
তাও গুটি গুটি পায়ে
পুড়তে পুড়তে আমি ভিজতে যাই
ভিজে যাওয়া ভালো, ভেসেই যাওয়ার থেকে।
তুমি
চলে যাও
তুমি চলে যাও
তোমাকে আলোর টানে চলে যেতে হয়
আমি তাই ঘুমাতেও পারি
জাগতে ও ভাসতেও
তুমি চলে যাও
যেতে হয় বলে----
আমি চলে যেতে যেতে ফিরে আসি
শূন্য থেকে এক পর্যন্ত বারবার
একা হতে হতে জল থেকে আগুন পর্যন্ত
তুমি চলে যাও
যেতে হয় বলে----
আমি আর
কোথাও পারি না যেতে
পথ হয়ে পড়ে থাকি জীবনের টানে।
তোমাকে আলোর টানে চলে যেতে হয়
আমি তাই ঘুমাতেও পারি
জাগতে ও ভাসতেও
তুমি চলে যাও
যেতে হয় বলে----
আমি চলে যেতে যেতে ফিরে আসি
শূন্য থেকে এক পর্যন্ত বারবার
একা হতে হতে জল থেকে আগুন পর্যন্ত
তুমি চলে যাও
যেতে হয় বলে----
আমি আর
কোথাও পারি না যেতে
পথ হয়ে পড়ে থাকি জীবনের টানে।
আমার
ও নিঃসঙ্গতার
বিনিদ্র রাত্রিই জানে নিঃসঙ্গতা মানে
শূন্যতায় নিজেকে এলিয়ে দিতে দিতে ডুবে যাওয়া
একাকীতে একাকার শুধু
কাছে থাকা পাশে থাকা কিছুটা একার
শূন্যতায় নিজেকে এলিয়ে দিতে দিতে ডুবে যাওয়া
একাকীতে একাকার শুধু
কাছে থাকা পাশে থাকা কিছুটা একার
সেই সব রাত সচোক্ষে দেখেছে
মানুষ জলের মতো বয়ে চলে ক্রমশ কীভাবে
খরস্রোতার গভীরে...অলক্ষ
উৎসমুখে অমোঘ নিঃসঙ্গ,
স্বপ্নরাজ্যের দুঃস্বপ্ন থেকে পালাতে পালাতে
রাত্রি কিছুটা তরল হলে ভোর হয়ে ওঠে
আমার মেয়েলি বাসি কাজ শুরু হয়
হাওয়া দিয়ে ঘষে এঁটো আকাশের কালি তুলে
আলো দিয়ে জলবুলিয়ে নিই সমস্ত
জলের আদরে স্নান সেরে সূর্য ওঠে
সারাদিন জলস্রোতের মতোই বয়ে চলতে থাকি
তালে তাল দিতে দিতে
নিঃসঙ্গতা রহস্যের মতো ছুঁয়ে যায় অসংযমে
বলিরেখা ছোপ মুছে যায় ততক্ষণে
আমিও কুঞ্জ সাজানো শুরু করে দিই
আড়ালে নিঃসঙ্গতায় লীন হবো বলে
আমার ও নিঃসঙ্গতার যুগল মূর্তি কবিতারা
দুই বাহু তুলে চেয়ে থেকে
আঙুলের সঙ্গত সঙ্গমে অলক্ষ্যের অপচয়ে...
মানুষ জলের মতো বয়ে চলে ক্রমশ কীভাবে
খরস্রোতার গভীরে...অলক্ষ
উৎসমুখে অমোঘ নিঃসঙ্গ,
স্বপ্নরাজ্যের দুঃস্বপ্ন থেকে পালাতে পালাতে
রাত্রি কিছুটা তরল হলে ভোর হয়ে ওঠে
আমার মেয়েলি বাসি কাজ শুরু হয়
হাওয়া দিয়ে ঘষে এঁটো আকাশের কালি তুলে
আলো দিয়ে জলবুলিয়ে নিই সমস্ত
জলের আদরে স্নান সেরে সূর্য ওঠে
সারাদিন জলস্রোতের মতোই বয়ে চলতে থাকি
তালে তাল দিতে দিতে
নিঃসঙ্গতা রহস্যের মতো ছুঁয়ে যায় অসংযমে
বলিরেখা ছোপ মুছে যায় ততক্ষণে
আমিও কুঞ্জ সাজানো শুরু করে দিই
আড়ালে নিঃসঙ্গতায় লীন হবো বলে
আমার ও নিঃসঙ্গতার যুগল মূর্তি কবিতারা
দুই বাহু তুলে চেয়ে থেকে
আঙুলের সঙ্গত সঙ্গমে অলক্ষ্যের অপচয়ে...
No comments:
Post a Comment