ইউথেনেসিয়া
অনেক
তো হাঁটাহাঁটি হল
এবার ফিরে এসে ঠাণ্ডা চানঘর আর ধারালো ব্লেড নিয়ে বসতে ইচ্ছে করে
টানটান চামড়া সমস্ত সাদা নিয়ে ফুটিয়ে তুলবে তেলতেলে মাংস
তারপরই ডুবে যাবে বুজকুড়ি কাটা ফিনকি লালে
এবার ফিরে এসে ঠাণ্ডা চানঘর আর ধারালো ব্লেড নিয়ে বসতে ইচ্ছে করে
টানটান চামড়া সমস্ত সাদা নিয়ে ফুটিয়ে তুলবে তেলতেলে মাংস
তারপরই ডুবে যাবে বুজকুড়ি কাটা ফিনকি লালে
যে কোন সোনালী
রূপোলীর থেকে ওই গাঢ় লাল আমি বেশী ভালবাসি
এবছর
শীত পড়েছে দারুণ,
সেই ছানাকাটা কুয়াশায়
কোন এক উঁচু থেকে পাদুটো গুটিয়ে নিয়ে ঝাপ
রসরক্ত সমেত ফেটে পড়ার আগে
দুদণ্ড ডানা মেলা পাখী হওয়া যায়
মাঝরাতে থাড শব্দে ঘুম ভাঙবে প্রতিবেশীদের
তাদের স্বপ্নে চিরকালের জন্য ঢুকে যাবে বিচ্ছিন্ন, ফেটে যাওয়া, এদিক ওদিক
সেই ছানাকাটা কুয়াশায়
কোন এক উঁচু থেকে পাদুটো গুটিয়ে নিয়ে ঝাপ
রসরক্ত সমেত ফেটে পড়ার আগে
দুদণ্ড ডানা মেলা পাখী হওয়া যায়
মাঝরাতে থাড শব্দে ঘুম ভাঙবে প্রতিবেশীদের
তাদের স্বপ্নে চিরকালের জন্য ঢুকে যাবে বিচ্ছিন্ন, ফেটে যাওয়া, এদিক ওদিক
এইসব
লোহিত টুপটাপ আর ভোঁতা আছড়ে পড়া বিতিকিচ্ছিরি কাছের মনে হয়
যখন
তুমি অন্য কোথাও জমাট বেঁধে
যখন তোমার মুখ পাথরের মত
যখন তোমার মুখ পাথরের মত
ব্ল্যাঙ্ক স্পেস
সে
আর নেই, ভেবে ফেলতেই
মাথার ভিতর থেকে ঝটপট উড়ে গেল একঝাঁক কবুতরি
এ কে ভারহীন সময় বলবে না শূন্যতা
ঠিক করতে করতে তোমার ঠোঁটের ফাঁকে
জমে যাচ্ছে আর একটা অর্থহীন চিখ।
মাথার ভিতর থেকে ঝটপট উড়ে গেল একঝাঁক কবুতরি
এ কে ভারহীন সময় বলবে না শূন্যতা
ঠিক করতে করতে তোমার ঠোঁটের ফাঁকে
জমে যাচ্ছে আর একটা অর্থহীন চিখ।
কী দিয়ে জড়াবে তুমি তাকে ?
বিশদ বুক চাপড়ানি
অথবা মাঠ চিড়ে বেরিয়ে যাওয়া ধুঁয়াধার হুইসেলে
ঠগ বাছতে গিয়ে
মনে পড়লো বাঘ চাওয়া রাখাল ছেলেটিকে
সে মিথ্যুক না আত্মহত্যাপ্রবণ, বুঝতে পেরেছিলে কী?
সে মিথ্যুক না আত্মহত্যাপ্রবণ, বুঝতে পেরেছিলে কী?
চাইতে
চাইতে একদিন ঘন হয়ে উঠবে
এমন তাজিমের জোর সবার থাকে না...
এমন তাজিমের জোর সবার থাকে না...
তাই
সে সব থেকে দূরে, আমার
ব্যাঙরাজকুমারী,
কথা শোনো, প্রাত্যহিক জলকাদায় মুখ ডুবিয়ে
ঘুমিয়ে নাও, আরো কয়েকটা ধোঁয়াগন্ধী শীতকাল
কথা শোনো, প্রাত্যহিক জলকাদায় মুখ ডুবিয়ে
ঘুমিয়ে নাও, আরো কয়েকটা ধোঁয়াগন্ধী শীতকাল
অবিদ্যা
তোমাদের
লেখা হোক কোমলগান্ধারে
তোমাদের ঝিলপাড়ে, আলো দিক উড়ন্ত হাউই প্রাকমধুকাল ঘেঁষে ডানা মেলে তোমাদের বাড়ি
তোমাদের ঝিলপাড়ে, আলো দিক উড়ন্ত হাউই প্রাকমধুকাল ঘেঁষে ডানা মেলে তোমাদের বাড়ি
মফঃস্বল, এ শিলাটি জায়মান মেঘ
প্রেমিকের ভ্রমজাত বিষাদঈশ্বরী
প্রেমিকের ভ্রমজাত বিষাদঈশ্বরী
আলাপে
ধারালো দিও
চাষ আবাদের দেশে ফলপ্রসূ আত্মপরিচয়
চাষ আবাদের দেশে ফলপ্রসূ আত্মপরিচয়
উঁবু
হও প্রান্ত ছুঁয়ে... যেরকম বেতাব ঈশ্বর
তবে
আর যাই করো...
মৃতশষ্প, কবুল ছুঁড়ো না
মৃতশষ্প, কবুল ছুঁড়ো না
ডাহুক পরবর্তী উপকথা
সেসব
ডাহুক পরবর্তী উপকথা
আজকাল আর লিখি না আমি
আজকাল আর লিখি না আমি
বেকুবের মত এক
কলম কালি নিয়ে
লিখতে বসেছিলাম নিডর কিষাণির উপাখ্যান
লিখতে বসেছিলাম নিডর কিষাণির উপাখ্যান
জোয়ানমদ্দ স্বামী, ভরা পোয়াতি ক্ষেত,
গাইবকনা, ডগমগ সংসার ফেলে
কোমরে ভিস্তী আর নুনমরিচ চুলে বেগুনী প্যাঞ্জি গুঁজে
সে মরুভূমি পেরোতে চেয়েছিল,
শুকিয়ে ওঠা মরুদ্যানের বিষন্ন ছোকরা গাছটির
গোড়া নিকিয়ে দেবে বলে
শেষটা
কি যে হল...
গল্পের মধ্যে ঢুকে পড়লো মরুঝড়, পুরনো কাঁটাঝোপ
ছেঁড়া কলিজা আর কি ভীষণ রক্তারক্তি !!
গল্পের মধ্যে ঢুকে পড়লো মরুঝড়, পুরনো কাঁটাঝোপ
ছেঁড়া কলিজা আর কি ভীষণ রক্তারক্তি !!
সে
সব থেকে কোনমতে পালিয়ে বেঁচেছি আমি
আজকাল
শুধু বিধিসম্মত মৌলিক গল্প লিখি
কচি গাছেদের সাথে যেমন আরো কচি ফুলেল লতার প্রেম
কচি গাছেদের সাথে যেমন আরো কচি ফুলেল লতার প্রেম
তারপর, সেলাই করা বাঁদিক ঘেঁষে
হাত বুলিয়ে বলি “ঘুমোও উপকথা, ঘুমোও”
হাত বুলিয়ে বলি “ঘুমোও উপকথা, ঘুমোও”
No comments:
Post a Comment