চল্লিশের চুরমার
এক
খানাখন্দে জেনেছি তোমাকে
ঝুঁকির ভেতর দেখেছি গোলমেলে তুমি
ঝামেলা শুকিয়ে তুলে রাখছো কাচের কোটরে
ওই যে ঘুরে যাচ্ছে সঠিক বেঠিক
পুষে রাখছি পাঁচমেশালি তন্ত্রবোধ
করণীয় কিছুই দেখছি না
খুলছি, যা যা সব ফুঁড়ে দিচ্ছে
এটুকুই
গোঁজামিল ফুটো করে শুধু এক গুনগুন
অহিংস, অনর্থক
গলায় তুলে নিচ্ছি সব
গরাদের মরশুমে, এ কিসের রেওয়াজ বলো
সাদাকালো চুলের কলোনি এ কোন অকর্মক ক্রিয়ায় ?
দুই
এবার জারুল মুখর
আকাশে আঙুল চুবিয়ে চেখে দেখা হবে নীল
শব্দের কষে লেপ্টে থাকবে জুঁই
জরুরী কথাবার্তা চটি হাতে বেরিয়ে পড়বে
ইউক্যালিপটাস বন থেকে ক্লিওপেট্রার ইশারা পেলেই
জমানো ঢেউ খুলে বসবে মধ্যবয়স
নির্জন নড়ে উঠলেই
নদী
গান, বন্ধ করো চোখ
বোতাম খুলে দাও
তিন
এটুকুই
নিরুদ্দেশ চিনে নিলে কি থাকে আর ?
বায়নায় রাখা হোক চিঠির বয়স
বর্ষায় ফোটা বেয়ারা কাশফুল, বারান্দার নজরানা
শুরুটা উড়ুক খুব
পাক খাক চিলের আকাশে
জমে জমে সুর হোক ইচ্ছেঋতুতে
বরং না জানাই থাক কুয়াশা বিজ্ঞান
চন্দ্রবিন্দুর সঙ্গে আড়ি
সই হোক সব যেতে চাওয়া
ওই পটীয়সী খেলারা চলে যাচ্ছে
এবার মুঠোখোলা ডাকনাম—
চার
ডাকো
চর জাগছে
পলির খোলা পিঠে
ঝাঁকঝাঁক বীজের খনন
ছাতিম ছায়ায় ফুটে আছে অনার্য ফুলেরা
তুমি দেখবে বলেই এইসব
শুকনো পাতায় ঢেকে যাওয়া পথ এখনও অপেক্ষায়
যেতে যেতে ফাটা ডিমও ইন্ধন রেখে গেছে
ডাকো
ড্রেনপাইপ বেয়ে নেমে আসবে
ড্রয়ার বন্দী প্ররোচনা---
পাঁচ
এ পর্যন্ত খোলা ছবি
রংগন্ধ, টলিয়ে দেওয়া প্রার্থনাঘর
যেটুকু বহন, সেটুকুই—
নিভৃতি, চিৎকার, রূপবান অশুভ
সব নিয়ে এই যে বাগান, আগাছা সমেত
পৌঁছে গেল বিকেলের তাড়াহুড়োর কাছে
খানাতল্লাশ এগিয়ে আসছে
এবার বসত হবে
সাঁঝবাতির সামনে দাঁড়াবে বেআব্রু আর্তি
এখনও প্রশ্ন আছে
থাকে কি তেমন আয়না
যেভাবে জলের আকাশ থাকে
আকাশের জল ?
No comments:
Post a Comment