ও কুয়োয় কার ছায়া পড়ে
কুয়ো ভ’রে বেজে ওঠে জল
জল বাজে প্রবাহবিহীন-বিচলনে
স্থিরতার প্রশ্ন এসে দাঁড়ায়--
যে আঘাতে হাত পুড়ে যায়
মন পোড়ে শুচিতায় কুটিল
কুয়োর আবেগে খসে প’ড়ে
আকাশও অন্ধ হয়ে থাকে!
কী কারণে রোজ দেখি তাকে
তাকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে
পোড়ো-ইট লতায়-পাতায়
রূপান্তরেও একবগ্গা-সময়
কুয়ো তুমি কার বলে দাও
ত্রস্ত মাকড়, নাকি শ্যাওলায় বিদীর্ণ ক্ষত?
আমি উঁচু মাথার ঠিকাদার
মানবিক হৃদয়ে দলিত!
অন্ধকার..
নিদারুণ বিচ্ছেদের রাতে
তুমি ছিলে অন্ধকার হয়ে
সে আঁধারে নিজেকে দেখিনি
তুমিও ডাকোনি নাম ধরে!
নাম আমার হারিয়েছে কবে
তবু তুমি খুঁজেছ আমায়
আমি একা হাস্যকর মানুষ
মানুষ কি আমি— জানি না...
শুধু জানি অপূর্ব সকাল
সে সেতুর একদিকে আমি
অন্যদিকে তুমিও করুণ
মাঝখানে প্রাণের খেলাটি..
এ খেলায় তোমার কাছেই
হেরে বসে আছি চিরকাল
নামগোত্রহীন আমি একা
নাম ধরে ডেকোনা আঁধার!
ঘাটের কথা
পুকুরের ঘাট
তুমি দেখেছ আমার বন্ধুকে
যারা ওকে দিয়েছিল শাঁখ যারা দিয়েছিল শাঁখা
তারাও মাছের ঝোলে কান্নার মত মিশে আছে
এখনও সিঁদুর আছে সিঁথি-অরণ্যে আঁকাবাঁকা...
দু'চোখে ছদ্মনাম, ঠোঁটে নিয়ে কথা কাটাকাটি
পুকুরে ভাসিয়ে দেয় জলের মিঞা-কি-মল্হার
বৃষ্টির ফোঁটা তুমি দেখেছ কি রাত জাগা মেয়ে
রাতের শব্দে যার ভেঙে যায় হৃদয়ের পাড়!
যারা ওকে দিয়েছিল শাঁখ যারা দিয়েছিল শাঁখা
তারাও মাছের ঝোলে কান্নার মত মিশে আছে
এখনও সিঁদুর আছে সিঁথি-অরণ্যে আঁকাবাঁকা...
দু'চোখে ছদ্মনাম, ঠোঁটে নিয়ে কথা কাটাকাটি
পুকুরে ভাসিয়ে দেয় জলের মিঞা-কি-মল্হার
বৃষ্টির ফোঁটা তুমি দেখেছ কি রাত জাগা মেয়ে
রাতের শব্দে যার ভেঙে যায় হৃদয়ের পাড়!
একা-একা বসে
থাকে, একা-একা পুকুরের ঘাটে
জলের পোকারা এসে নূপুরের অন্ধকার ঘাঁটে
শ্যাওলা ঘনিয়ে ওঠে, যন্ত্রণা আড়ি করে দেয়
সংসারে বাড়ন্ত-মেয়েকে কে নেয়? কেউ না!
জলের পোকারা এসে নূপুরের অন্ধকার ঘাঁটে
শ্যাওলা ঘনিয়ে ওঠে, যন্ত্রণা আড়ি করে দেয়
সংসারে বাড়ন্ত-মেয়েকে কে নেয়? কেউ না!
অসীমান্ত
লালপেড়ে সাদা ভোরে
ফুটে উঠি কানায় কানায়
আমারও ঘুঙুর বাঁধতে সাধ যায়
ধূপে-দীপে বৈশাখী ঘরে
ও আমার পোশাকি ভৈরব –
পদ্মপাতায় বড়ো হা-হুতাশ করে শৈশব. . .
তোমার গন্ধে বুঁদ সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে
দুরন্ত কাজে ছুটি
কোলকুঁজো পায়ে পায়ে পায়ে. . .
পঁচিশের জন্মদিনে খই ঢেকে দেবে কবি
আমার এ শ্মশানযাত্রায়!
তুচ্ছ রাজন্য কথা..
তুমি নখ দিয়ে চামড়া ছাড়ালেই বিস্ময় বোধ করি
তাকালেই
দুঃখে দুঃখে লাগে ফুলের ডাগর
সময়-পরীক্ষায় ফেল করে যাই!
জানো,
পৃথিবীর মোট তিনকাল—
অতীত, বর্তমান, আকাল...
তবু তোমার নিয়ম-ক’রে বিনোদন হল
সকলের মুখ নিয়ে ভাবা..
তিনশো-অযুত-কোটি ঘরের মালিক
হেঁটে গেলে আমাদের ফুসফুস চিরে—
লোকে বলে,
দেশের মূল্যবান ‘নৃসিংহ’ এভাবেই চলে...
শরীরে অবুঝ মলমূত্রের মত
মানুষ পিছ্লে যায় নর্দমা দিয়ে
তার ঠিক পাশটাতে ঠ্যাঁটা-রাস্তায়
গালভাঙা-শিশুথানে মাথা নিচু করো
ভিক্ষের চন্দন এঁকে দাও তুলতুলে হাতের-নদীতে...
ঐ তবে ঈশ্বর তোমার প্রবল ভুবনে!
Each words reflect your wonderful thoughts.. Keep it up
ReplyDeleteগুচ্ছ গুচ্ছ বেদনা ঝরে ঝরে পড়ল, প্রতিটি আখর চুঁয়ে চুঁয়ে।
ReplyDeleteকবিতা যতটা বেদনা আশ্রিত যতটা বিষন্ন ততটাই মনের ঘরে নিঝুম আশ্রয়, নেশার ঘোর যেন, যেন এলজোলাম .05।আপাতত চুপচাপ নেশাতুর বিভোর, ঘোর কাটলে না হয় বুঝে নেওয়া যাবে অন্য কিছু।