দুয়ার
আকাশের সমর্থন পেয়েছি
তাই ভিড় থেকে সরিয়ে নিয়েছি নিজেকে
রাত্রি হয়ে,জল হয়ে,জলের বিন্দু হয়ে
মিশে আছি হাওয়ায়
হাওয়ার প্রতিটি বাঁকে
আয়োজন শেষ হলে,জানি,
স্তব্ধ হবে আমার গান
খুলে যাবে দক্ষিণের দুয়ার
নদীজল
নদীপাড়ে বাড়ি। ভিতরে কারা আছে
আজও জানতে পারিনি।
মাঝে মাঝে শুধু শুনতে পাই হাসির শব্দ।
কারা হাসে,রৌদ্রের মতো ছড়িয়ে
পড়ে তাদের হাসির ছায়া।
ছায়ার বাইরে আসি,দেখি,
নদীর তীরবরাবর
দৌড়োচ্ছে একদল অতিকায় ঘোড়া;
ধুলো উড়ছে
আর লাল হয়ে উঠছে নদীজল।
শূন্যতা
জল ও স্থলের মাঝে যে শূন্যতাটুকু আছে
সেখানে একা একা মাঝে মাঝে দাঁড়াই
দূর থেকে মেঘ ও রৌদ্র আসে
অনাগত বৃষ্টিতে ভিজে যায় চুল
ভেজা চোখ নিয়ে আরও একবার তাকাই
দেখি,মাথার উপর দিয়ে
উড়ে যাচ্ছে সার সার বালিহাঁস
ওড়ে বাঁশপাতা ও বিষণ্ণতা
ক্রমশ বুঝতে পারি,আমি একা নই
আমার সঙ্গে আছে সমগ্র পৃথিবীলোক
ওই বিপুল শূন্যতা
অগোচরে
অগোচরে কোথাও জানালা খুলে যায়
জানালা দিয়ে ঢোকে হেমন্তের রোদ
গাঢ় হয় অপেক্ষার রং
রঙের ভেতর একসময় ছায়া নামে
অরূপ রাত্রির ছায়া
পথের হাতছানি পিছনে ফেলে
একসময় পথিকও ঢুকে যায়
ছায়ার অন্ত:পুরে
কেউ না জানলেও সে জানে
বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করছে
এক জ্যোতির্ময় সকাল
ঘুম
মানুষের ঘুমের ভিতর
মাঝে মাঝে গাছেরা আসে
বসে
তারপর হাই তোলে
তুলতেই থাকে
কী যে চায় তারা,তা
মানুষ জানে না
ঘুমের দেবীও জানে না
গাছেরা নিজেরাও কি জানে?
বেশ ভালো
ReplyDeleteভালো লাগলো
ReplyDeleteগৌতম মন্ডলের কবিতা এত বছর ধরে শুধু গাছ হাওয়া পথ মাটি নদী- প্রাকৃতিক জিনিস সব ধারণ করে আছে। আড়ম্বর কিছু নেই। বরং এত কম উপকরণে ফুরিয়ে যাবার কথা। অথচ কি জাদুতে তিনি এমনভাবে নতুন নতুন করে টেনে রাখছেন আমাদের। এখানে তাঁর সিদ্ধি প্রশ্নাতীত!
ReplyDeleteগৌতম মন্ডলের কবিতা এত বছর ধরে শুধু গাছ হাওয়া পথ মাটি নদী- প্রাকৃতিক জিনিস সব ধারণ করে আছে। আড়ম্বর কিছু নেই। বরং এত কম উপকরণে ফুরিয়ে যাবার কথা। অথচ কি জাদুতে তিনি এমনভাবে নতুন নতুন করে টেনে রাখছেন আমাদের। এখানে তাঁর সিদ্ধি প্রশ্নাতীত!
ReplyDelete