Saturday, August 11, 2018

স্ব-অধীন কি স্বাধীন? : সবর্না চট্টোপাধ্যায়






চোখের কার্নিশ থেকে ওড়ে গেল একটা নীল পাখি। বৃষ্টি এসে ক্রমাগত ভিজিয়ে দিচ্ছে বারান্দা। আচমকা যেন বর্ষা নেমেছে গোটা ডুয়ার্স জঙ্গলে। নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প রিসর্টের আধখোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আটকে আছি পরিপূর্ণ জারুলের চোখে। সবুজ অরণ্য স্নানে  ছলকে উঠছে তার বেগুনি শরীর। নিবিড় ঘন অরণ্য সন্তুরে বাজছে কেকা। এ কোন আকাশের নিচে আমার কল্পনা সাজিয়ে তুলছে তার নিজের পৃথিবী! চারদিকে বৃষ্টির গান। নেওড়া নদীর উচ্ছ্বল সঙ্গম।
রোজকার জীবন থেকে টুকরো করা একটা পৃথিবী যেন এখানে বেঁচে আছে তার নিজের মতো করে। বেয়াদপ মানুষের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অরণ্য অট্টহাস্য করছে অবাধ স্বাধীনতায়। যেখানে শুধু নিয়ম তার কথা শোনে।
একটা বিদ্যুত এসে থমকে দিয়ে গেল সব। মনে হল, সত্যিই কি স্বাধীন এ নির্জনতা?
নাকি সেখানেও মানুষের এক কঠিন চালাকি? প্রভুত্ব ফলানোর প্রয়াসে প্রকৃতিকে দেওয়া দান মাত্র। খানিকটা নিজের স্বার্থেই বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের। আর একঘেয়েমি কাটাতে চুষে নিচ্ছে একাকি বন্য স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার এই ঢেউ প্রকৃতির সর্বত্র খেলা করে আপন ছন্দে। কাঞ্চনজঙ্ঘার পরতে পরতে দেখেছি রবফের কেশর। সোনালী সূর্যের চাদর বিছিয়ে মেঘেদের রাজকীয় আগমন। সারা পাহাড় যেন ছুঁড়ে দিচ্ছে থোকাথোকা বাহারী পশম। 
এক অনন্য স্বাধীন আকাশের নীচে দুহাত ছড়িয়ে নিজেকে সঁপে দিয়েছি বারবার পার্বত্য নির্জনতায়। তবে সেও এক মুহূর্তের ভ্রম। সম্বিত ফিরে আসে তখনই, যেইমাত্র মনে পড়ে এখান থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে আমার ব্যস্তশহর, পড়ে থাকা কাজ, দায়দায়িত্ব, ফেলে আসা আমার বাড়ি। ফিরে আসার ডাক নিয়ে উড়ে আসে শহরের ক্লান্ত মেঘ। সময়ের কাঁটায় যেন মেপে দেওয়া আছে আমি ঠিক কতটুকু স্বাধীন।
এ অস্তিত্ব আমাদের বাঁচার রসদ। পরাধীন দেশ যেমন দাসত্ব মুক্তির লড়াই চালিয়েছিল নিজের অধিকার ও মর্যাদারক্ষায়, প্রাণের ধর্মও ঠিক তাই। দেশ হোক বা সংকীর্ণ পরিসর, আত্মস্বাধীনতার সুখ যেন ঠিক প্রথম ভোরের
আলোর মতোই।
কিছু কঠিন কথা বলতে গেলে নারীস্বাধীনতা বা সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বীকৃতির কথা বলতেই হয়, যেখানে স্বাধীনতা বিষয়টি একটি পরিক্ষিত সত্য। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একটি নারীকে আজও সহ্য করতে হয় অবহেলা, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। নারী শরীর তাদের চোখে কোন মাতৃরূপেণসংস্থিতা নয়, বরং স্তন ও যোনিসর্বস্ব লালসার চাষজমি মাত্র। ভোগের এক লোভনীয় মাধ্যম। এমতাবস্থায় নারীদের শিক্ষা, সমানাধিকার বা সমাজে সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনতা আদায়ের লড়াইটা নিতান্ত সহজ ছিল না। অন্দরমহলে থাকা অন্ধকার নারীজাতিকে খোলা আকাশের নীচে আনার পথটা ছিল প্রবল কন্টকময়। বর্ষার প্রথম বৃষ্টির মত শিক্ষা যেদিন ছুঁয়েছিল তাদের আবৃত মনন, সেই প্রথম আগুন জ্বলে উঠেছিল চারদেওয়ালের গন্ডীর ভেতর। সেই ফুলকি বাড়তে বাড়তে ক্রমশ তাদের স্বাধীনতার অর্থ বুঝিয়েছে। তবে সমাজ যতই নারীস্বাধীনতার কথা বলুক না কেন, আজও প্রতিটা পদক্ষেপে নারীদের স্বাধীনতার অর্থটাই নিরর্থক হয়ে যায় সামজিক নিন্দা কুৎসা সমালোচকদের তর্জনীনির্দেশের বহড়ে। নিজেদের পছন্দের পোশাক হোক কিংবা চাকরী নির্বাচন এমনকি এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও কতক্ষণ কারসাথে কিভাবে তারা তাদের সময় অতিবাহিত করবে তাও নির্ধারণ করে দেয় আমাদের পুরুষালি শাসক মনোভাব।
                    আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ভালোবাসা নদীর স্রোতের মতই বহমান। দখিন হাওয়ার ঝাপটা এসে নাড়িয়ে দিয়ে যায় উত্তরের কঠিন শুষ্ক ডাল।  তেমনই গঙ্গার জল গিয়ে অনায়াসে মিশে যেতে পারে সিন্ধুর চঞ্চলতায় । কোন ধর্ম জাতি সমাজ বয়স ভালোবাসার মানুষটিকে বেছে নেওয়ার এই স্বাধীনতাকে বেঁধে দিতে পারে না কোনদিন নিয়মঅনিয়মের বেড়াজালে। তবুও পৃথিবীর সর্বত্রই আছে ব্যতিক্রম। তোলপাড় ওঠে তখনই, যখন ধর্মবিদ্বেষের বিষাক্ত বীজ জোর করে গেঁথে দেওয়া হয় এই পবিত্রতায়। একটি হিন্দু ও একটি মুসলিম মন আজও স্বাধীনভাবে ভালোবাসার অধিকার পায়না আমাদের লোকদেখানো ধর্মনিরপেক্ষ সমাজব্যবস্থায়। কি করে ভুলে যাই রিজয়ানুর মৃত্যুর ঘটনা?
এই বিদ্বেষের ঝড়ে ওলোটপালট হয়ে গেছে কত কত পবিত্র সম্পর্ক। আজও এই সমাজ যেমন মেনে নেয়না প্রকাশ্যে আলিঙ্গন বা চুমুর মতো ঘটনা। পরিস্থিতি বিচার না করেই স্বাধীন দেশে চড়াও হয় নীতিপুলিশের দল। কলকাতা মেট্রোর ঘটনা, যার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। অথচ কি অবাধ স্বাধীনতায় এদেশে ঘুরে বেড়ায় দলেদলে চোর জোচ্চর ঠগ খুনী ধর্ষকের দল। চার হোক বা আশি ধর্ষনের কোন বয়স নেই,  কোন ধর্ম নেই, কোন জাতের বিচার নেই, কোন আত্মীয় নেই। এজমিতে দিনদিন বেড়ে ওঠছে ধর্ষক। কোন স্বাধীনতায় বুক ফুলিয়ে নারীশরীরকে ছিঁড়ে খাচ্ছে এই বিকৃতপশুর দল তা বিচার করার ক্ষমতা কোন আইনেরও নেই। এখানে কোন মৃত ধর্ষিতার ধর্ষক সাজা পায় আরও বিশটা বিভৎস ধর্ষনকান্ড ঘটে যাওয়ার পর।
                একসময় ছিল যখন একপলশা বৃষ্টির পর দিগন্ত বিস্তৃত ভেজা মাঠে খালি পায়ে দৌড়ে যেতাম। দৌড়ে যেতাম কাটা ঘুড়ির পিছন পিছন। কাঁচা আমে কামড় দিয়ে এ গাছ থেকে ওগাছে ভরদুপুরে ফল চুরির গল্প শুনেছি বাবাকাকাদের মুখে। শুকনোসুপুরি পাতায় বসে টানতে টানতে সারা পাড়া চষে বেড়ানোর মত এসব শৈশব স্বাধীনতাও আজ বিলুপ্তির পথে। যেমন বিলুপ্ত হতে চলেছে দাপুটে ইংরাজি ভাষার চাপে আমাদের বহু আঞ্চলিক ভাষা।
         ধারাবাহিকতার স্রোতে আমরা এই স্বাধীন বাতাসকে হারিয়েছি। অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাঁস নিউক্লিয়ার জীবনটা অতিযান্ত্রিক হতে হতে কোথাও যেন একটু পরাধীন হয়ে গেছি। বশ্যতা স্বীকার করছি নিজেদের চাহিদা, লোভ, লালসা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর স্বার্থপরতার কাছে।
                        প্রকৃতির কোলে মাথা না দিলে আমার কোনদিনই সালোকসংশ্লেষ হয় না। তাই বারবার ছুটে যাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নদী পাহাড় সাগর জঙ্গল এদের স্বাধীনতাও কোথাও একটা বাঁধা আছে যেন নিয়মের অদৃশ্যসুতোয়। সেই নিয়মে ছেদ পড়লেই অশান্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি। পশুপাখি তারাও তাদের জীবন পরিচালনা করে স্বাধীনতার নিয়ম মেনেই। ছোটবেলায় টিভিতে ‘জঙ্গলবুক’ দেখার সময় শেরখানের জঙ্গলরাজে সেসময়
ভীষন রাগ হতো। কিন্তু এতো চিরন্তন সত্য। ক্ষমতা বল অর্থ তার প্রভুত্ব দেখাবেই আর তাতেই ক্ষুণ্ন হবে অপরের স্বাধীনতা।

পরিবারের কথাও যদি ধরা যায়, বা সমাজের একজন ইনডিপেন্ডেন্ট ছেলে বা মেয়ে অনেকবেশি স্বাধীন একটি বেরোজগেরে ছেলে বা মেয়ের থেকে। নিয়ম বা ভালোমন্দের কথা বাদ দিলে সেই আর্থিকভাবে স্বাধীন মানুষটি অন্তত তার নিজস্ব সখআহ্লাদ চাহিদা মেটানোর মত ক্ষমতা রাখে নিজে। তার জন্য অন্য কারোর ওপর তাকে আর্থিকভাবে নির্ভর করতে হয় না। আর একটি মেয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি পাওনা হল তার আত্মসম্মান বাড়িয়ে তোলার এক বলিষ্ঠ ক্ষেত্র তৈরী হয়।
আগেই বলেছি স্বাধীনতা অনেকসময় আটকা পড়ে দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কের বাঁধনে। একজন মানুষ, কোন সম্পর্কে বাঁধা পড়লে কিংবা সন্তান লাভের পর থেকে বদলাতে থাকে চাওয়াপাওয়াগুলো।      
          গানপাগল যে মেয়েটি একদিন সকাল থেকে রাত অবধি ডুবে থাকত ইমন বা ভৈরবে, বন্ধ চোখের ওপারে অলিগলি সবুজ আকাশ সাদা ঝরণা পেরিয়ে উড়ে যেত মেঘের দেশে, একলা কোন কফিসপে ক্যাপুচিনোয় চুমুক দিতে দিতে সীগালের ঝাঁক কিংবা লাইটহাউসের আলো দেখতে দেখতে কামড়ে ধরত কল্পনার মানুষটির ঠোঁট তাকেও তার ফেরারি মনটাকে কোথাও ফেলে আসতে হয় অতীতের বিচ্ছিন্ন কোন এক কাব্যে। দায়িত্বের ভার বা সময়ের অভাবে তার স্বাধীন কল্পনাও দিক পাল্টায়। ভোরের আলতো রোদে সোনালী পাহাড়ের গল্পটা অনায়াসে ভাসিয়ে দেয় তিস্তার জলে।
বাউল ফকিরের জীবন হোক বা সন্ন্যাসী জীবন তারা হয়ত তাও এই স্বাধীন সুখটুকু খানিকটা হলেও অনুভব করে। বরফের নিঝুম গুহায় শুয়ে শুয়ে জ্যোৎস্নার আলোয় এঁকে নেন সপ্তর্ষিমণ্ডল। সোঁদামাটির গন্ধমেখে শিশির ভেজা ঘাসের বুকে সমস্ত হাপিত্যেশ ঢেলে দিয়ে নতুন করে বাঁচার গান লেখে ফকির বাউলের খোলা বাতাস। জীবনের ওপরও এক আপনভোলা স্বাধীন জীবন। বাতাসের স্রোতে যার দিকবদল, নদীর হাওয়ায় যার আত্তিকরণ। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে এমনটা হয়না। ঘন সবুজের ঢিবিতে ঘাসফুল হয়ে দুলে ওঠার স্বপ্নটুকুও ক্রমশ দায়িত্বকর্তব্যের শিকলে জড়িয়ে যায় প্রবলভাবে।
লালন সাঁই এর কাহিনী সেই সমস্ত বাধার উপরে এক অদ্ভুত জীবনের পথে চলার কাহিনী, যে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া সাধারণের কল্পনাতীত। আমরা অপুরসংসারের সেই ছেলেটিকেও তার বোহেমিয়ান জীবন ছেড়ে একদিন ফিরে আসতে দেখেছি তার মা হারা ছোট্ট সন্তানের কাছে। এই প্রসঙ্গে একটি একটি হিন্দি ছবির কথাও ভীষন মনে পড়ছে, যেখানে ‘বানি’ নামক স্বাধীন মনের ছেলেটি যে তার জীবনকে শুধু তার হাওয়ায় বয়ে নিয়ে যেতেই ভালোবাসত, তাকেও আটকা পড়তে হয় শেষমেশ এক লংডিসট্যান্স রিলেশানসিপে। তার ছন্নছাড়া জীবনেও আসে দায়িত্ববোধ।
স্বাধীনতার বীজ প্রাণের সাথেই ক্রমশ বাড়তে থাকে স্বস্তায়। এককথায় প্রাণের অস্তিত্ব হয়ত স্বাধীনতা। চারদেওয়ালের গন্ডী থেকেই দেখলে বলা যায়,  বাহ্যিকভাবে পরিবার কতটুকু কনজারভেটিভ বা কতখানি লিবারেল তার ওপর কোন নারী বা পুরুষ কতটুকু স্বাধীনতা পাবে তা নির্ভর করে অনেকটা। এরপর আসে লিঙ্গ নির্ধারণ। পুরুষ হয়ে না জন্মালে আজও স্বাধীনতার পূর্ণস্বাদ আস্বাদন করা এ সমাজে অসম্ভব। ও পরিশেষে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মানসিকতা।
আজ আমাদের সামাজিক বা অর্থনৈতিক যা অবস্থান তার দিকে তাকালে জীবনের আনন্দগুলোও যেন জীবনপ্রণালীর সাথে কেমন বদলে যেতে থাকে। শহরের চারকোনা ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে তাকিয়ে থাকলে মনে হয়
বৃষ্টিতে ভিজে কাদামাখা ফুটবলে শট মারার স্বাধীনতা কি শুধুই গ্রাম্যবালকেরই আছে?  উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও হাড়হাভাতে মানুষের স্বাধীনতার মাত্রাটা তবে কোথায় কোথায় ঠিক আলাদা হয়ে যায়? ধুলোমাটি মেখে ঘামে ভিজে খোলা আকাশের নীচে নরম ঘাসে দৌড়ানো, একছুটে শিল কুড়োতে যাওয়া বা পুকুরে সাঁতার কাটার মতো স্বাধীনতাগুলো কি আজ বিত্তের বিচারে ভাগ হয়ে গেছে?
             একটা সময় ছিল, সারাদিন কেটে যেত একটা পেন্টিং নিয়ে। আমি আমার শহর আমার দিনরাত ভালোবাসা কান্না শোক সব থমকে যেত চারদিকে। শুধু দুটো চোখ আর মাথার মধ্যে একটা কল্পনা ক্রমশ প্রাণবন্ত করে তোলার প্রবল চেষ্টা। নাওয়াখাওয়া ভুলে সমস্ত সকাল থেকে রাত মিশিয়ে যেতাম প্যালেটের রঙতুলিতে। প্রুসিয়ান ব্লুতে ভরে ওঠছে রাত। মিলকিওয়ের দৃশ্যমান পথে আমি ডুবে যাচ্ছি গন্তব্যসাগরে। সেই কাটানো সময় আমার অতীত। আমার বর্তমান পরিস্থিতি, প্রতিকূলতা, দায়বদ্ধতার ঘেরাটোপে এই স্বাধীনসময়টুকুও আদায় করতে পারি না আজ।
তুমুল বর্ষায় খোলা ছাদে ভিজে সপসপে শরীরে চিৎকার করে বলতে পারিনা, আকাশ আমি শুধু তোমার।
কল্পনা যাই হোক না কেন, দায়িত্বশীল হওয়াটা জীবনেরই এক অঙ্গ। মনে রাখার বিষয় এটাই যে, স্বাধীনতা মানে কখনই স্বেচ্ছাচারিতা নয়। স্বাধীনতার অপব্যবহার করাটাও এক অপরাধ বই কিছু নয়। নিজেদের কর্তব্য দায়িত্ব বিচক্ষণতা ও ঠিকভুল বিশ্লেষণ ক্ষমতা দিয়েই স্বাধীনতার স্বাদ নেওয়া উচিত, না হলে জীবনে উচ্ছৃঙ্খলতা দেখা দেয়।
গোলাপের পাপড়িতে লাগা একফোঁটা জলের মতোই আমাদের স্বত্বায় স্বাধীনতার স্বাদ আরও সুন্দর করে তোলে আমাদের জীবন, ঠিক যেমন সাতদিন একটানা বৃষ্টির পর প্রথম রোদে ভেজা শুকনো একফালি আকাশ আর তাতে দুহাত মেলে দিয়ে সোনালী আলো মেখে নেয় ঘ্যানঘ্যানে ক্লান্ত একটা বর্ষাতিমন। তখন মনে হয় স্বাধীনতাটাও যেন , আমার হাত ছুঁয়ে মেঘের পাহাড়ে মিলিয়ে যাওয়া একটা সাদা পায়রা মাত্র…...






     

No comments:

Post a Comment

'রাষ্ট্র মানেই পরবাসী নিজের ঘরেতে ' : বেবী সাউ

ক্রোড়পত্র  " It's coming through a hole in the air,  from those nights in Tiananmen Square.  It's coming ...