Friday, August 10, 2018

গুচ্ছ কবিতা উৎপল তালধি






আলোকবৃত্ত

নতুন আলোকবৃত্তে জন্মরাশিচক্রজুড়ে
একটা কাঁকড়া খেলা করে, 
তার পিঠে লেখা আছে 
জলজের বংশতালিকা।
তুমিও​ দেখেছো সেই
জ‍্যোৎস্নাভুক চকোরের
স্বপ্নিল নৌকাবিলাসে
যে তরঙ্গলাঞ্ছনা
কবিতার পঙক্তি হয়ে যায়
তাও তো চন্দ্রবংশীয় কোনো
আত্মার আত্মীয়ের
বোধোদয়মালা।
আমাদের বারোমাস
রীতিমত ফুল্লকুসুমিত, 
তবুও গৃহস্থের মায়াবী 
                    আলোকে
কর্কটসংক্রান্তি এলে 
নিজস্ব আলের গর্তে
চুপিচুপি ঢুকে বসে থাকি ।

অর্ধনারীশ্বর

প্রতিদিন পুজো করো
সেই অর্ধনারীশ্বরের--
একদিকে ত্রিপুণ্ড্র,
অন‍্যদিকে মুণ্ডমালা,
আহা! দারুণ স্বীকৃতোক্তি
পরস্পরের রসায়নে
জমে যেন ক্ষীর ।
কোথায় তাণ্ডব,আর
কোথায় বা ভারতনাট‍্যম ?
যতদূর মনে যায়
শুধু কথাকলি।
এখানে বিল্ববৃক্ষে
হররোজ শুধু কৌতূহল,আর
ত্রিকালবোধন।

রামধনু

তোমার ভিতরে ঢুকে
সেই যে বসেছি
বাইরে আসার ইচ্ছা
সুবর্ণরেখায় ভেসে গেছে।
সদ্যহরিদ্রাভ বসন্তকে
বলেছি, অপেক্ষা করো,
পর্ণমোচনের কালে
দেখে নিও শীর্ষমুকুল।
স্বাধিষ্ঠানে চঞ্চল হলে
ক্ষয়াটে চাঁদের মুখে
কে তুলে দেবে মহৌষধি 
কে গাইবে সামগান
সপ্তাশ্বমেধের আসরে?
আয়নায় দেখো
তোমার খোঁপায় আজ 
কেমন জ্বলজ্বল করছে
বিশুদ্ধ বর্ণালি ।

ফিনিক্স

ব্রহ্মজিজ্ঞাসার চিহ্ণে
আমি বিন্দুবৎ ।
বিন্দুর ওপরে ওই
বাঁকাঠাম হুকে
সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড ঝুলছে,
নিচে শুধু অন্ধকার--
কোথাও নক্ষত্র নেই,
মাঝেমধ‍্যে দু'একটা ধূমকেতু
আসা যাওয়া করে।
বলাই বাহুল‍্য
তুমি সেই অন্ধকারে
প্রায়শই জ্বলে ওঠো
উল্কার মতো,
তারপর হারিয়ে গিয়ে
আবার ফিনিক্স !
পারলে কিছুটা ছাই রেখে দিও
আমাদের স্মৃতিমন্দিরে ।

কবি

কবিতা লিখতে বসলে
বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে
তুমি দাও শব্দের যোগান।
তখন তোমার জন্ম দেখে নিই 
পৌন:পুনিক।

No comments:

Post a Comment

'রাষ্ট্র মানেই পরবাসী নিজের ঘরেতে ' : বেবী সাউ

ক্রোড়পত্র  " It's coming through a hole in the air,  from those nights in Tiananmen Square.  It's coming ...