পানাসক্তি – ১
অদৃশ্য, ঝুঁকে পড়
আমার সীমাহীন হাহাকারে
নৈঃশব্দ কুটিল বড়
কিংবা আমাকে
থাকতে দাও আরো পাঁচজনার মত
দমনে পীড়নে
নিঃশব্দলিপ্ত। বুঝিবা ব্যাকারনের অর্থ খোঁজাই সার হবে জীবনান্ত
অকারনে বয়স বাড়বে
সময়ের আগে
আমি বলেছি, আমি
বলেছি যাহোক চাঁদা আমি দিয়ে যাবো জীবনভোর – এই কথা দিলাম
শুধু যথেচ্ছ মৌন
প্রেম –যৌন প্রেম বারোয়ারী করে তোলো
-এখানে বিপ্লব
বলে কিছু নেই , কখনো ছিলোনা
পানাসক্তি – ২
আপৃথিবী, এখনো
আমি নবজাতক- অর্ধতরল
ছুঁয়ে দেখো কেমন স্পন্দন জেগেছে পাঁজরের খাঁচায় – আবাহমান
বিদ্যুৎ
বহু দুর্গম পার
করেছি, কি ভাবলে - ফিরে যাবো ?
প্রবঞ্চিত হবো
তোমার দ্বিয়াচরনে – কখনো নয়
বধির, তবু গান
শুনবোই আকারে ইঙ্গিতে
রঙের বাহার নেই
,তবু অকারনে দাগ কেটে যাবো
পাকস্থলির পথে
নিয়ে যাবো অবৈধ নেশার আবিষ্কার...
উচ্ছন্নে যাবো
দেহবাদী স্তবে ...
সুখশহর
ছবি সারাইয়ের আছিলায় মুছে যাচ্ছি মুখের সমস্ত ভিড় ।। উড়ো
শহরের চিঠি থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে মেলানোকলি।। ...এখন শুধু গান বাজবে রাস্তায়
রাস্তায় ।। স্পর্ধা উড়ছে পর্দা হয়ে চোখের তারায় ... জুহুরীপট্টির ভিড় থেকে উঠেছে
মারহাবা রব ।।
“যারা সামনে যাবেন ...শহরান্তে অথবা পরিত্যক্ত কসাইখানার
দিকে -হাত তুলুন...
একটাই আবেদন - সঙ্গে কিছু সফেদ ফুল রাখবেন ...”
রোদ্দুরের সঙ্গে নেশা মিশছে – আঠা আঠা ।। চামড়া কারখানার শিশুরা অনায়াসে ফাঁকা পেরিয়ে
যাচ্ছে ।।
No comments:
Post a Comment