Friday, August 10, 2018

গুচ্ছ কবিতা মীনাক্ষী মুখার্জী








অক্ষরে আগুন জড়ানো 


অতীতের নামে ডাক দাও
শিল্প পোড়ে নির্জন দুপুরে
আমি বর্ণান্ধ 
বনসাই প্রেমিক ছায়া ঘরে দ্বিধাগ্রস্থ
 অরব বসে দেখি ফিঙে
বোবা ...। 
 কে কাকে দেখছি !
মেঘেদের উড়ান  উড়ো চিঠি  আনবে 
 অপেক্ষা ... 
নীলখামে অসুখ চির চেনা , 
অচেনা  আজ !
 অক্ষরে আগুন জড়ানো 
উল্টানো চোখ  
 বিস্মৃত আমি ....
        

তুমি কি পাথর ....


অন্ধ হয়ে বসে আছ তুমি
স্বপ্নরঞ্জিত যাপন সুখস্মৃতির বারান্দায় 
লবনাক্ত জলে ছায়াঘর
 ছায়ার সম্পর্কের আলিঙ্গনে 
সিক্ত প্রেমজলের তর্পন আজ
 সেদিনের খনিজ উত্তোলনে সমৃদ্ধ সম্পর্ক
কস্তুরীর গন্ধ ছড়ানো স্নানঘর
উন্মুক্ত নগ্নতা লজ্জা পায় তোমার দেওয়া দাগে
রঞ্জিতমাটি কৃষ্ণমৃত্তিকায় আগুন ছড়ায়
 ঋতুরদাগ বদলে চৌকাঠে ঘুন
 নিবিড়তা দিশেহারা দিশারী অল্পায়ুতে
 তবু পাথরও ভীত মানুষ হতে  তোমায় দেখে 
এত কঠিন হতে সেও ব্যর্থ 
                           

আত্মাহুতি





আত্মাহুতির প্রেমে দার্শনিক অনুভব
সুরক্ষিত আবেগ  আলিঙ্গনে অদৃশ্য 
শীর্ণ সন্ন্যাসীর খঞ্জনিতে
পথ ভুলানো পথ
শুনেছি শিরা উপশিরাহীন গল্প বলা
অভ্যেসের বদল নজির প্রস্তাবিত
ষড়যন্ত্রেও শস্য মাটিতে গুপ্ত
মাঠ নাচে সতেজ রোদে
নিঃশেষিত রক্ত মৈথুনে
সম্মান সংকটে রগড়ে ধ্বংস
ত্রস্ত ফুরানো মন 
বিন্দু বিন্দু রচিত সরলরেখায়
                         

সন্ধানী চোখ

জমাজল খুঁজে নেয় সন্ধানী চোখ
উষ্ণ উত্তাল শরীর
প্রকোষ্ট দাহ্য মন
নদীর সংজ্ঞা কম্পিত 
হেটেঁ যায় সমুদ্র ।
হলুদ চিত্র ক্রমশ সবুজ
ঘাস ফুলের পসরায় চাঁদ
মনোবল দৃষ্টি নিবিড়
বাবুই প্রেমদংশন  লাগায় জোছনায়
আজ বিবাগীর ঘরে পূর্ণিমা ।


নিভৃতে আমি......



আঙ্গুলে আঙ্গুলে  সজীব ঈশ্বর
মাধুকরী পার করে দুর্ভ্যেদ্য পথ
আত্মনিষ্পেষিত সন্ধ্যা 
দি্ব্যালোকের মৌনতা'
ছিটকে পড়বে কখনো আলো কখনো অন্ধকার
নিভৃতে , চিরধ্যানস্থ , 
 আমি ...

শূন্য...




উল্টানো পাতা , সময় - শূন্য

স্বপ্নতাড়িত ঝুলবারান্দায় চোখ

যেখানে যতি , ছেদবিন্দু  - শূন্য
 
সমীকরণের বালুঝড়

শূন্য গভীরে আরো শূন্য 
প্রেমের রঙ এখন  গোলাপী 
 
উপহার প্রতিটি প্রেমে - মৃত্যু 
       
 
         শূন্য............... !   


শিকড়ঘুম


মিথেন জ্বলা  রাতের ডাক বুকে
নিংড়ে দিচ্ছে মুখোশের অশ্রুগ্রন্থি
লক্ষ্যে অলক্ষ্যে ...
উপকথার মৃত হাত 
পাষাণাঙ্কিত মৌনতা জপে 
গৈরিক সন্ধ্যা ;
জলের  জীর্ণ পাড়  জলের অতলে নত মস্তক
তবু তোমার নগ্নতা অবক্ষয়হীন
 আর আমি শিকড় ঘুমে আচ্ছন্ন করি নিজেকে


অতর্কিতের ধূলো 


তোমার জল মগ্ন হয়ে আছে বন্ধনে'
হাত আজ পরবাসী তোমার হাওয়ায়
সমুদ্রের শক্তি ভাঙ্গার ঢেউ  -
সঞ্চয়ের শক্তি;
শব্দহীন সাহারা দারুণ ক্ষয়িত 
একথা আলোয় জেনেছি পারিজাত
ক্রমশ তুমি ঝড় হয়ে অতর্কিতের ধূলো 
বৃষ্টি তখন রঙ্গিন বালির উপর
আমি শিখি
 ধূলো ও বালির মিশ্রণ ধর্ম জানে না ।



                                

No comments:

Post a Comment

'রাষ্ট্র মানেই পরবাসী নিজের ঘরেতে ' : বেবী সাউ

ক্রোড়পত্র  " It's coming through a hole in the air,  from those nights in Tiananmen Square.  It's coming ...