Friday, August 10, 2018

গুচ্ছ কবিতা অমিত কুমার বিশ্বাস






দুঃখ, আমাদের প্রেমিকা হও
কালোঘোড়ায় ছুটছে পড়ন্ত বিকেল আর হল্লা রাজার নৈশপ্রহরী... অবশেষে  সবাইকে চমকে দিয়ে বৃষ্টি  নামল ঘাসবনে...  তাই  আমিও  ব্যাঙালাম  তোমাকেই ছাদে জমা জলে বসে... একটু তাকালে একটু হাসলে বা  ভেবে ফেললাম এরকমই... আড়াল থেকে দেখে নিলে ঘাসবনের নীলপাখি আর মোলায়েম দিনগুলির বর্ণমালা
#
কালোঘোড়ায় ছুটছো তুমিও... কেবল আমিই  খুরের মধ্যে লুকোলাম !  
তোমার উদাসীনতা  ছুটে চলেছে বিষণ্ণ পাতাল রেলের অন্ধকার মেখে... আলো গুলো একে একে নিভিয়ে দিয়ে উন্মুক্ত হলে আজ মেঘ আর কুয়াশার কাছে... অথচ মশারির মধ্যে জোছনার পালঙ্কে বিছিয়ে দেবো বলেছিলাম নীলমেঘ আর কলকে ফুলের উপাখ্যান...
# 
দাও, এবারে হেমলক দাও, খুব ঘুম পাচ্ছে ! 
বৃষ্টি নামলে আমিও কেমন আদিম হয়ে যাই... আমার শরীর থেকে পোশাক খুলে যায় একে একে...  এমনকি আমার লিঙ্গ আমার প্রিয় লিঙ্গ ছট্ ফট্  করতে করতে ঢুকে যায় কোনও রাতযোনিতে...  আর এই বন্ধ্যা দেশে  ফুটফুটে পাখির ছানার  মতো ভালোবাসা কিচিরমিচির করে আমাদের ঘাসবনে...
বিপরীত বিহারে তোমার মুখটা ঠিক যেন আমার হতাশ্বাস মুছে ফেলা গোধূলির মতোই লাগে... তখন মনে হয় তোমাকে খুব   চুম্বন করি!
অজগরের নিতম্বে রেখে যাবো আমার বিষণ্ণ চুম্বন... বুঝে নিও তুমি সুদূর মিশরে বসে... ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার  মতো  যতো  প্রেম লুকিয়ে রেখেছি সাপুড়িয়ার বাক্সে  আর নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছি কুচি কুচি করে গোলাপ-টুকরোর মতো আমাদের ঘাসবনে, সব ফিরিয়ে দেবো একদিন পাথরকুচির ডানায় ...এখন বনে খুব একটা যাই না... এখন ভয় লাগে... এখন     এক শৃঙ্গ  গণ্ডারে ভরে গেছে তোমার রাতের ভূকম্পন আর প্লেটোর   হাতখাতা... তবু বুনো শুয়োর ছুটে যায়  জোছনার এসপারে ওসপারে... আর আমি বসে থাকি  যেন পৃথিবী সৃষ্টির রাতে বসে আছি এক কাপ কফি   নিয়ে ভগবান আর রাক্ষসদের মাঝখানে...সুঠাম ওৎ পেতে আছি  কখন মেনকার হাত ধরে ঝাঁপ দেবো পৃথিবীর কাঁধে... সবার চোখে ধুলো দিয়ে ঢুকে যাবো বাসরঘরে...  যদি এ-ও স্বপ্ন হয় তবে নিজের চামড়া তুলে বানাবো  কন্ডোম আর ঢুকে যাবো কোনও নিটোল  অন্ধকারে  ... হারিয়ে যাবো সাড়ে তিন কোটি  বছর...তখন  মিসিং ডায়েরিতে কেবল  লেখা থাকবে  হুপ্ হুপ্ করে ছুটে যাওয়া শত সহস্র অসম্পূর্ণ চুম্বনগাঁথা !  
বৃষ্টিহীনতায় আমিও নীল পাখি... বেদম প্রহারে হার না মানা  ঘোড়ার মতো সাগরের নোনা জল মুখে তুলে ছুটেছি একা... পালক খসার পর বুঝি ঝড় এক ধরনের  অলৌকিক প্রতিভা ... খুরের  মধ্যে আজও লুকানো আমার  প্রেমপত্র কিংবা গোপন হাহাকার...  আমার নীলপাখি আমার  পালকহীন নীলপাখি  আমার  কালোঘোড়ার গাঢ় মনখারাপ কিংবা শিখণ্ডীদের মহামিছিল কেবলই  বিষণ্ণ ধুলো ওড়ায়... আমার কিস্যু যায় আসে না যদি মেঘও একদিন সন্ত্রাসবাদী হয়... আসলে  কথা কেড়ে নিলে প্রতিটি বরফ কণাও একদিন জল হয়ে যায় !

বরফের নিচে আমাদের আগুনের সংসার... তাজমহলের গায়ে হিসি করে দেয় মহাদেব পাগল...আর  এক নব্যপ্রেমিক অ্যাসিড ছুঁড়ে পরখ  করে ভালোবাসার মানচিত্র... আমি কাকে বলবো প্রেম আর কাকে বলবো হত্যাকাণ্ড...আমার সামনেই ধেই ধেই করে নাচে হিটলার আর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু... সকল প্রাক্তন  প্রেমিকার বুকে এখন পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ! 
গলিতে ঢুকে পড়ে চন্দ্রবোড়া আর  সাদা অ্যাম্বাসেডর
তুমি উঠে পড়ো  নির্দ্বিধায়
আসলে তোমার সামনে আছে অনন্ত  ডুবো  জাহাজ আর পেছনে এলাবোরেট নিতম্ব
তবু শিরা-উপশিরায় বোমা বেঁধে নেমে পড়ি মাঠে
বিস্ফোরণে কেবল ভাষাটাই কেঁপে উঠবে!
পৃথিবীটা ঘুরছে
মানে আমি ঘুরছি
তার মানে তুমিও
অর্থাৎ তোমার জন্য ব্যবহৃত - অব্যবহৃত  সকল নিরোধ গুলোও...
এসব নিয়েও কবিতা!
 ছিঃ !
লোকে বলবেটা কী!
লোকের কথাও তো ভাবতে হবে
অন্তত  যখন তারা সময় করে ভোটটা দিতে আসে 
আর ঘুরতে থাকে  গোটা পৃথিবীর সাথে সাথে
লাইকায় কমেন্টায় ট্যাগায় কিংবা হামি খায়
পেপারটাও ঠিকঠাক পড়ে
ছাড়ো এসব
আর দেখো
কালোঘোড়ায় আজীবন ছুটছে কেউ তোমার পেছনেই
আর গাইছে ফসলের শিশিরের পাখিদের  গান 
দেখো আগুন মেখে প্রকাণ্ড রাজপথে  সুনসান দুপুর
প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে একাই
মার খেতে খেতে শিরদাঁড়াতেও চটেছে রঙ 
তবু হেঁটে আসছে  দুর্গের  দিকেই 
আর এসব দেখে হাসতে হাসতে রাজার কুকুরটাও পড়ে গেল সোফা থেকে
অমনি খেঁকিয়ে উঠল ভাড়াটে লেঠেলের শিশ্নগুচ্ছ
আর সমবেত  রাইফেলের হস্তমৈথুন 
তবু  বুলেট মাখা শরীর থেকে বেরোচ্ছে  অনন্ত সুর 
আর ঘোড়ার মুখে চুমু দিয়ে বলছে  কবিতার মতো ছুটে যাও হীরক 
আমি কুকুরদের জন্য লিখে ফেলি আরো দুটো ভালোবাসার গান!
১০
তুমি এলেই
                        ঝড়
#
নৌকোডুবির পরও বেঁচে থাকে কবিতা
মুঠোফোনের হৃদয় লাফায় অন্যমুঠোয়
আর আমি কেবল শব্দের শরীরে!














No comments:

Post a Comment

'রাষ্ট্র মানেই পরবাসী নিজের ঘরেতে ' : বেবী সাউ

ক্রোড়পত্র  " It's coming through a hole in the air,  from those nights in Tiananmen Square.  It's coming ...