ভ্রমণকাহিনী থেকে দূরে
১.
অরণ্যভূমির
ঘুম কেড়ে নিয়ে গেছে দস্যুরা...
লুন্ঠিত
পাতাদের পায়ে পায়ে কী গৌড় সারঙ
বেজেছিল,
তার কান্না তৃণভূমি জুড়ে
ক্রমশ
লম্বাটে হয়ে শুয়ে আছে বহু পক্ষকাল...
ধর্ষিতা,
পায়ে দলা, অনাম্নী বালিকা কুসুমে
রক্তের
শবচিহ্ন
এই
দীর্ঘ শীতে--
অরণ্যভূমির
ঘুম, মায়ামাত্র, তার লজ্জা ছিঁড়ে
পর্যটক
এসেছেন মারাংবুরুর পৃথিবীতে।
২.
সম্মত
নয় এই মধুগন্ধ, তোমাকে ছোঁবেনা
নদীর
অপরপিঠে নেতাধোপানীর ঘাট
ভেজা
ভেজা... কবরের নীচে
চাঁদের
গলিত দেহে জেগে ওঠে সাদা কৃমিকীট
তারওপরে...
তারওপরে... অধরা গল্পটি
উপসংহারে
এসে স্রোত-জলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে
প্রবাহ
পায়নি, কোনো শরীর পায়নি উপকথা
কবরে
দাঁড়িয়ে একা চাঁদ দেখেছিল
মহুয়া
রাত্রির দিকে পুরুষের আদিগন্ত নৌকাবাইচ...
৩.
মৃতের
শরীরে কোনো রোদ্দুর থাকেনা
তাদের
ঘুমের পাশে অস্থির টগর ঝরে পড়ে
সাদা
সান্ত্বনার মতো। জীবিতরা জানেনা সে কথা।
সমাধিসৌধের
গায়ে মসের গালিচা দেখে তারা
বিস্মিত
হয়, আর প্রেমিকার কাছে ফেরে
কান্না
নিয়ে। কুসুম আনে না।
দুঃখিত
প্রেতের মতো প্রেম তার নিম্নগামী ছায়া
ফেলে
রেখে যায় ক্লান্ত পুরুষের দেহে,
পুরুষাঙ্গে,রোমে
ঢাকা ব্যথার কলমে...
জীবিতরা
জানেনা সে কথা।
পর্যটনপ্রিয়
তারা রোদ চেনে, টগর চেনেনা।
৪.
ক্ষমাই
পরম ধর্ম। মৃতের শরীরে
ব্রাহ্মমুহূর্তের
ষড়যন্ত্র আঁকা। সেই
রোদনচিহ্নটি
ধরে হেঁটে হেঁটে ধর্ষিতার গ্রাম
মাটিতে
আগুন জ্বাললে পরিযায়ী পাখিদের মতো
এগাঁয়ে
নিসর্গ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে অন্ধকার
জনশূন্য
কুয়ো থেকে উঠে আসে অনার্য দেবীরা
নগ্ন,
আভরণহীন... অভিশাপ দিতে।
মাটি
ফেটে গেছে, কোনো ছায়া নেই। যন্ত্রণার গ্রাম...
নিজস্ব
সংবাদ-দাতা আমি, কাছের শহর থেকে
মৃতদেহটির
মধ্যে বেড়াতে এলাম।
অন্যতম শব্দভ্রমণ । মুগ্ধতা রেখে যাওয়া
ReplyDeleteসেই লেখাগুলো,মুনাই!!! কী আশ্চর্য ভালো!!!কিছু কিছু দিনের অনুষঙ্গ নিয়ে শব্দ কেমন জাদুকর হয়ে ওঠে তোর হাতে...
ReplyDeleteদারুণ ভালোলাগা কবিতা
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল
ReplyDeleteখুব ভাল লাগল
ReplyDeleteমুগ্ধতা... কবির কবিতা ভীষণ ভালোলাগে।
ReplyDeleteEgulo , mone hochhe, itipurbe porechhi! Tai ki. Happy New Year. Preeti o valobasa.
ReplyDelete