ক্রোড়পত্রের কবিতা
হ্যালুসিনেশান
প্রবল উষ্ণতা আর সীমাহীন নেশা,
দুই এর অনুভব দ্বন্দ্বহীন সহোদরা।
অজস্র বিন্দু ঝাঁক বেঁধে বেঁধে
ক্রমশঃ ছাইছে বঙ্গদেশ,
নাসা জানাচ্ছে এশিয়াটিক এরোসল,
ব্যাক্তিগত টেলিস্কোপের খবর,
তাদের দুই পা ফ্ল্যাশের তীব্রতা অনুযায়ী,
অজস্র মঞ্চে চলমান,আর,
এক হাতের ভাঁজে শৌখিন কলমদান।
শাতিল ইউনিফর্ম মাস্ক সরিয়ে,
প্রজাতি বিচারের আগেই,
তাদের আস্তিন থেকে ছোঁড়া বিষাক্ত আয়ুধে,
ভাঙলো লেন্স,
সংজ্ঞাহীন নির্বাসনের আগে মস্তিষ্ক
নিয়েছিল শুধু-
"ধ্বংস করো,পুড়িয়ে দাও,
গোষ্ঠীহীন একাকী উন্মাদ,
লিখতে জানে......"
সহকবি
গভীর,ভীষণ গভীর থেকে,
অনেকক্ষণের একটা হাগ,
শেষ দেখা হয়েছিল,
বোধহয়,বছর আড়াই আগে।
বদলেছি কে কতটা,
এখন কে কোথায়,
এসব আর চিন্তায় আসেনা।
জিয়া নস্টাল এখন শুধু
সাদা কালো ফটোগ্রাফের
গবেষণামূলক প্রদর্শনীতে
আর মথ জারিত সাহিত্যে।
অনুষ্ঠান,পাশাপাশি আসন,
যখন তুমি স্পটলাইট,আমি দর্শক,
এবং ভাইসি ভার্সা।
এইসব কাব্যসভার একটা দুর্ধর্ষ গুন আছে,
নখ দাঁত লুকিয়ে কিভাবে
সৌজন্য প্রদর্শন করতে করতে,
আদতেই জড়ভরত হয়ে যেতে হয়,
সেই প্রশিক্ষণ গুলো অজান্তেই পাওয়া হয়ে যায়।
হলের এয়ার কন্ডিশন অফ হলে,
উদ্যোক্তা আর সর্বাধিক ঘনিষ্ঠরা
একসঙ্গে বেরোয়,
সেল্ফি,ওয়াটস্যাপ নম্বর,চা,
মিনিট দশেক বড়জোর,
এলাকা মরু সাহারা।
তোমার ইচ্ছে ছিলো হয়তো আকস্মিকতার,
যা জন্ম দেবে দীর্ঘ,রিলিজ না পাওয়া,
কোনও সিনেমার শুটিং পর্বের।
আমার অনায়াস আয়ত্ত
নিজেকে কৈফিয়তহীন খুলে নেওয়ার বাস্তবতা।
বলে এসেছি,নিরানব্বই পেরাও,
একশো তে আছি।
এ কথায় অরোরা বেরিয়ালিস দেখা যায়না,
তবে বাতিঘরের আলেয়া নাবিক মাত্রেই দেখে থাকে,ব্যতিক্রম ঘটেনি ।
এসব কোনও ঘটনা নয়,
বিদ্বজনেরা বলেন,কবিতায় ঘটনা থাকেনা।
প্রতি মুহূর্তেই কবিতা থাকে,
অথবা,প্রতি কবিতাই একটি করে মুহূর্ত।
কবিতা কখনও সত্যি হয়?
অন্যরকম ভাষা।ভালো
ReplyDelete