শিস
তোমায় যে কথা বলা হয়নি সেদিন
রুপোলি বালিরতটে বহুদূরে কাকে যেন দেখা
গিয়েছিল
পরক্ষণে মনে হল কেউ না।
তারপর সবাই মিলে নৌকো ঠেলে নামানো হল
জলে
কবরের ফুল মাঝরাতে উড়ে গেল ঝড়ে।
রোজ রাতে ইদানীং নীরক্ত চাঁদ ওঠে
আর ঘর জুড়েওড়ে প্রজাপতির ছেঁড়া পাখা।
নৌকো জলে নামতে অনেক সময় লেগেছিল...
তুমি বলবে, এসব আর এখন ভাবার দরকার
নেই।
শুকনো পাতা ডিঙিয়ে ঘোড়সওয়ারের পদক্ষেপ
দ্রুত হয়ে আসছে।
বাড়ির পর-বাড়ি বদলাতে গেলে জীবনের
তত্ত্বগুলো সহজ হয়ে যায়।
কারণে বা হয়তো অকারণেওরঙিলা হেসে ওঠা
উচিত মনে হয়।
আরতির বৃন্দগানে চাপা পড়ে যায় সাবেকি
ক্রোধ নয়তো ভয়
তবু একদিন অ্যাশট্রে উপচে ওঠে বহুদিনের
যত্নে জমানো ছাই
সমস্ত বৈঠকে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন মনে
পড়ে, তটরেখায় কেউ ছিল কিংবা নেই?
তোমায় যে কথা বলা হবে না কখনও
ওই অরক্ষণীয় তটে বহুদূরে একবার কাউকে
দেখা গিয়েছিল
প্রতি মুহূর্ত বহন করছে সে সত্যির
সকৃতজ্ঞভার।
আর পরক্ষণে মনে হয়েছিল কেউ না...
উত্তর না মেলা গোলকধাঁধার ঝরোখা ছুঁয়ে কেবল
শিস উড়ে যায়।
পাঁচিল ও
অশ্বত্থগাছের গল্প
ধরা যাক, রাস্তা দিয়ে অনেকটা পথ এগনোর
পর
যখন তুমি বুঝলে রাস্তাটা ফুরিয়ে এসেছে
অমনি হাওয়া নিয়ে এল পুরাকালের
মাঝিমাল্লার উজান বাওয়ার ডাক
এদিকে সামনে আর এগনোর জায়গা নেই
এগোলেই অশ্বত্থের চারাওঠা পোড়খাওয়া পাঁচিল
সম্বচ্ছরের সংসার সেখানে জমানো কান্না
রেখে গেছে
ফেলে গেছে বুড়ো হয়ে যাওয়া অকেজো বিষদাঁত
এমন সময় আপনাদের সকলের খুব চেনা,
কাছেরও।
যখন হৃদপিণ্ডে রক্তের গোপন চলাচলও প্রকট
হয়ে আসে
সুতরাং বিকেলের দূরত্ব ভাসিয়ে নেওয়া অলৌকিক
রোদ সম্বল
সম্বল গাঢ় আকাশের ফ্রেমে বন্দি হওয়া জলরঙা
বেলুন,
এভাবে বেঁচে থাকাটা করতলগত লাট্টুর মতো
সহজ হয়ে এসেছে যখন
তখন কোথাও আর কিছু নেই
জানলার পরদা দিগ্বিদিকে উড়ে যাচ্ছে
কেবল আর
ঘুমের মধ্যে জলস্রোতের দুর্মর আওয়াজ
নদী পেরিয়ে চলে যাচ্ছে কেউ যেন
এক পাথর থেকে অন্য পাথর..
এক পাথর থেকে আর-এক পাথর অনেক কাছে,
এক পাথর থেকে ওই পাথর অনেক দূরে,
তবু এক নিয়তিতাড়িত লাফ...
আর এদিকে পাঁচিলের অশ্বত্থগাছে নতুন
পাতা উঠেছে
তারা হাওয়ায় দুলছে অবাধ। শুধু আকাশের ফ্রেমে বন্দি...ব্যস
এইটুকু
No comments:
Post a Comment